ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ কত

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ কত ২০২৫: এক দেশে থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ভিসা। তবে ভিসার মধ্যে অনেক গুলো ভাগ রয়েছে। প্রতি কাজের জন্য আলাদা আলাদা করে ভিসা বানিয়ে বিদেশ যেতে হবে। তবে আপন যদিও ভ্রমণের জন্যও বিদেশ যেতে চান তাহলে একটি ভিসা প্রয়োজন হবে। এই ভিসার নাম হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা। তো আপনি যদি ইন্ডিয়ান ভ্রমণের উদ্দেশ্য যান তাহলে প্রথমে একটি ভিসা বানাবেন। ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ কত টাকা তা হয়তো জানেন না।

এই পোস্টে ভারতে যেতে টিকিটের দাম, ভিসার দাম ও মোট কত টাকা খরচ হবে তা আলোচনা করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভিসার মেয়াদ, কিভাবে ভিসা বানাবেন ইত্যাদি আপডেট জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট টি পড়ুন।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ

বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেতে প্রায় ৩ থেকে ৭ লাখ টাকার উপরে লাগর। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশ পাশা-পাশি দেশ হওয়ায় এর ভিসা খরচ খুব কম। মাত্র কয়েক হাজারের মধ্যেই ভারত বাংলাদেশে ভিসা বানাতে পারবেন। সব মিলিয়ে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ প্রায় ৫০০০ টাকা। তবে ভিসার খরচ এক হলেও আাশ পথ ও স্থল পথের যাতায়াত খরচ ভিন্ন হবে। আপনারা বাংলাদেশে যেকোনো বিভাগ থেকে ভিসা বানিয়ে নিতে পারবেন।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা ২০২

আগের বছর গুলো থেকে ২০২৩ সালে ভিসার খরচ বেড়েছে। আগের সময়ে ৪ হাজার টাকার মধ্যে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যেতো। তবে এখন ভিসার বানানোর সকল চার্জ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬০০ টাকার ভিসার চার্জ এখন হয়েছে ৮০০ টাকা। ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ বা ৭০০ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ভিসার দাম বাড়ানো হয়েছে।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার দাম

বর্তমানে বিশ্ব বাজারে ডলারের রেট বেড়েছে। যার কারণে সকল জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছি। সেই অনুযায়ী সকল প্রকার ভিসার দাম ও খরচ আগের থেকে বেড়েছে। যে ভিসা ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় পাওয়া যেতো, তা এখন ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় বানাতে হচ্ছে। এছাড়া আপনি কত দিনের জন্য ভিসা বানাবেন তার উপর ভিসার দাম নির্ভর করবে। ২ মাসের জন্য হলে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা শুধু ভিসার খরচ। সকল প্রকার চার্জ বা ট্যাক্স সহ আরও বেশি খরচ হবে।

নতুন বছরের ইসলামিক স্ট্যাটাস

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট চালু আছে কি?

বর্তমানে বিশ্বের সকল দেশে ভিসা চালু করা হয়েছে। কোরোনাকালিন সময়ে এক এক দেশে ভিসা বন্ধ করা হয়েছিলো। কিন্তু তার কয়েক মাস বা ১ বছর পড়ে নতুন করে ভিসা চালু হয়েছে এবং এর খরচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আপনারা যারা ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসায় যেতে চাচ্ছেন তারা এখন যেতে পারবেন। খুব দ্রুত ভিসা বানিয়ে নিন।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সকল কাজের একটা নিয়ম থাকে। এই নিয়মের মধ্যে কাজ করতে হয়। তেমন ভিসা বা পাসপোর্ট এর জন্য কয়েক টি ধাপ রয়েছে, যা আপনাকে মেনে ভিসা বানাতে হবে। ভিসা বানানোর জন্য দরকার প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট। ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো যা যা আল্গবে তা নিচের তালিকা থেকে দেখেনিন।

  • ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রথমে পাসপোর্ট বানাতে হবে।
  • আবেদন করার সময় একটি রঙিন ছবি ও আরেকটি স্ট্যাম্প সাইজের মোট ২ কপি ছবি লাগবে
  •  স্মার্ট কার্ড, এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে। এগুলো না থাকলে জন্ম সনদের ফটোকপি জমা দিবেন।
  • বিদ্যুত বিল, পানির বিল, গ্যাস বিল ইত্যাদি এর যেকোনো একটি বিলের কাগজ প্রয়োজন হতে পারে।
  • আপনার কাজের বিষয় বা আপনি যে পেশায় যুক্ত আছেন সেই বেশে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লাগবে।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডলার অথবা ইন্টার্নেশনাল কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ ব্যাংক এর কিছু ডকুমেন্ট লাগবে।
  • পাসপোর্ট ও ডাটা পেজের ফটোকপি প্রয়োজন হবে এবং এর আগে যদি ইন্ডিয়া যেয়ে থাকেন সেই পূর্বের ভিসার ফোটকপি জমা দিবেন।
  • ইন্ডিয়ার আগের যেকোনো পাসপোর্ট থাকলে দিতে হবে আর যদি সেই পুরাতন পাসপোর্ট হারিয়ে যায় তাহলে জিডি কপি দিতে হবে।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে

উপরের দেওয়া ডকুমেন্ট গুলো জমা দেওয়ার পর আপনাকে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। সাধারণত আবেদনের ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ভিসা পাওয়া যায়। তবে ভিসা অফিসে অধিক চাপ থাকলে সে ক্ষেত্রে ভিসা পেতে দেরি হবে। অন্যথায় ৭ দিনের মধ্যে আপনার টুরিস্ট ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ

বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘ মেয়েদি ভিসা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা। তবে টুরিস্ট ভিসা আলাদা। এক জন মানুষ ১৫ দিনের বেশি ভ্রমণ করে না। এজন্য ভিসার মেয়াদ খুব কম থাকে। টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ ১ মাস। তবে আপনার যদি আরও সময়ের প্রয়োজন হয়, তাহলে সেই ভিসার মেয়াদ ও সময় আরও বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এজন্য ভিসার মেয়াদ থাকাকালীন সময়েই পুনরায় তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার আবেদন করার নিয়ম

অনলাইনে সাধারণত ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ই-ভিসা, ইন্ডিয়ান বিজনেস ই-ভিসা, ইন্ডিয়ান মেডিকেল ই-ভিসা এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাটেন্ডেন্ট ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এছাড়া আপনারা ভালো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা বানাতে পারবেন। ভিসার ফরম পূরণের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে তা মেনে নিতে হবে। ভিসা আবেদনের জন্য http://www.ivacbd.com/ এই ওয়েবসাইট টি ভিজিট করতে হবে। আবেদন ফি https://payment.ivacbd.com এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

ইন্ডিয়া যাওয়ার খরচ

ইন্ডিয়ার ভিসার ধরন ভিন্ন হওয়ায় এর খরচ কম বেশি হয়। তবে আপনি যে ভিসায় ইন্ডিয়া যান না কেনো তার যাতায়াত খরচ ভিন্ন ভিন্ন হবে। আপনারা চাইলে স্থল পথেও ইন্ডিয়া যেতে পারবেন। সস্থল পথে গেলে বাস বা ট্রেন ব্যবহার করতে হবে। এজন্য থেকে ৫ হাজার টাকা যাতায়ত খরচ লাগবে। আর আকাশ পথে বা বিমান দিয়ে ইন্ডিয়া যেতে চাইলে এর খরচ আরও বেশি হবে। এজন একটি বিমানের ভাড়া বা টিকিটের দাম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাগবে।

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আপডেট

এখানে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আপডেট গুলো জানানো হবে। ভিসার জন্য যদি নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায় এই অংশে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এখন পর্যন্ত ভিসার নতুন কোনো আপডেট আসেনি। তাই আগের দাম ও খরচ নিয়ে ভিসা বানানতে হবে। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো নতুন করে সংযুক্ত করা হয়নি।

শেষ কথা:

এই পোস্টে ইন্ডিয়ান ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে এবং এই পোস্ট থেকে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ, ভিসার দাম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই রকম আরও পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকুন। এই ওয়েবসাইটে ভিসা, টিকিট ও আরও সকল তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার পদ্ধতি

Similar Posts